For the best experience, open
https://m.kolkata24x7.in
on your mobile browser.
Advertisement

বর্ষায় গাছের পরিচর্যা, জানুন সহজ পদ্ধতি

01:50 AM Jun 09, 2024 IST | Digital Desk
বর্ষায় গাছের পরিচর্যা  জানুন সহজ পদ্ধতি
Advertisement

Tree Care Tips: বৃষ্টির জল গাছের জন্য অনেক উপকারী। কারণ এতে নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফেট ও নাইট্রেট আয়ন থাকে। বৃষ্টির জল বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ। এই কারণে বর্ষাকালে গাছের পাতাগুলো আরও সজীব হয়ে ওঠে।তবে বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির ফলে অনেক গাছ মারাও যেতে পারে। বর্ষাকালে গাছের যত্ন কীভাবে নেবেন ও গাছের ফলন কীভাবে বাড়ানো যায় জেনে নিন-

Advertisement
   

(১) বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট গাছের জন্য ক্ষতিকর। তাই এদের খোলা আকাশের নিচে না রাখাই ভালো। এই জাতীয় গাছগুলোকে ছায়ার মধ্যে বা ঘরের মধ্যে রাখা উচিত।

Advertisement

(২) গাছের জল নিষ্কাশনের অবশ্যই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নইলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। যেকোনো ঘরোয়া গাছের জন্য এমন টব বা পাত্র বাছাই করা দরকার যেটায় জল নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনমত ছিদ্র থাকে।

(৩) যদি বৃষ্টির পরও টবে জল জমে যায়; তাহলে টব একদিকে কাত করে জল ফেলে দিতে হবে। আর মাটি না শুকালে মাটি একটু কুপিয়ে দিতে হবে যাতে সম্পূর্ণ মাটি শুকিয়ে যায়।

(৪) বর্ষাকালেও গাছে জল দেয়া উচিত কিনা সেটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। এর উত্তর হলো, না। বৃষ্টির ফলে গাছে জলের ঘাটতি পূরণ হয়। তাই গাছের মাটি না শুকানো পর্যন্ত জল দেয়া উচিত নয়।

(৫) গরমে যেমন টবের মাটি কয়েক ইঞ্চি নিচ পর্যন্ত ভরাট করতে হয়, তেমনই বর্ষাকালে বৃষ্টির হাত থেকে গাছকে রক্ষা করার জন্য টবে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া উচিত যাতে পানি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

(৬) অতিবৃষ্টির সময় অবশ্যই এমন ধরণের মাটি নির্বাচন করতে হবে; যাতে মাটি খুব দ্রুত জল শুষে নিতে পারে। আর তাই এর জন্য এঁটেল মাটি ব্যবহার করা উপযোগী। মাটি তৈরির ক্ষেত্রে মাটির সঙ্গে সার মেশানোর পাশাপাশি বালি ও নুড়িপাথর বেশি পরিমাণে মিশিয়ে নিতে হবে।

(৭) অনেক সময় পিপড়া বা অন্যান্য ছোট ছোট পোকা টবের নিচে বাসা তৈরি করে। এসব পোকামাকড় গাছের অনেক ক্ষতি করে। তাই গাছের টব সরিয়ে নিয়ে পোকামাকড় ধ্বংস করতে হবে।

(৮) বর্ষাকালে সার প্রয়োগ না করাই ভালো। কেননা বৃষ্টির জলে যে পরিমাণে নাইট্রোজেন বা অন্যান্য উপাদান থাকে তা গাছের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। তাই সার দেয়া উচিত নয়।

(৯) গাছে যদি মুকুল ধরে তখন কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত তাতে অন্যান্য মুকুল বা পাতায় পোকা আক্রমণ করার আশঙ্কা কমে যায়।

(১০) ঝড় বৃষ্টিতে অনেক সময় গাছ, বিশেষ করে চারা গাছ একদিকে হেলে যায়। তাই গাছের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য গাছের সঙ্গে খুটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।

(১১) মাঝে মাঝে দেখা যায় গাছের মাটিতে অনেক কেঁচো থাকে। এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ কেঁচোকে প্রকৃতির লাঙল বলা হয়। এই কেঁচো মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

(১২) গাছের নষ্ট হয়ে যাওয়া ডাল, পাতা বা নষ্ট ফুল, ফল কেটে ফেলা উচিত। অবাঞ্চনীয় কান্ড বা পাতা থাকলে গাছকে যেমন অসুন্দর লাগে তেমনি গাছে খাদ্য বা পানি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

Advertisement
Tags :
Advertisement

.